অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যায় ইন্সপেক্টর লিয়াকতের ব্যবহৃত পিস্তল বুঝে পেয়েছেন মামলার তদন্তকারী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিএসবি শাখায় যান মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সিনহাকে গুলি করা ইন্সপেক্টর লিয়াকতের পিস্তলটি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বুঝে নেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া আসামিদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের স্বার্থে পরস্পরের মুখোমুখিও করা হবে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম বলেন, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য দিচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্য একটির সঙ্গে আরেকটি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করাও হচ্ছে। রিমান্ডে নেয়া আসামিদের পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আবার কখনও কখনও একে অপরের মুখোমুখি করেও জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের কোনো ঘাটতি যাতে না থাকে সে কারণেই এটা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশ মতে ইন্সপেক্টর লিয়াকতের পিস্তল র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার পরে সিনহা হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারাগার থেকে বের করার পর আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আসামিদের র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে তদন্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।