কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
সাত ভাই বোনের অভাবের সংসারে রুক্কু মিয়া বড় হয়েছেন। দেশে সে রিক্সা চালাতেন। পরিবারের সচ্ছলতার কথা ভেবে প্রায় তিন বছর পূর্বে ভাগ্য অন্বেষণে সৌদি আরবের আল কাসিমে পাড়ি জমান। শীঘ্রই তার দেশে ফেরার কথা ছিল। ফেরার পূর্বে ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। পথে সড়ক দুর্ঘটায় সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। তার মৃত্যুর খবর পৌছার পর গ্র্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চলছে শোকের মাতম।
সৌদি আরবের ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশীর একজন রুক্কু মিয়া। নিহত রুক্কু মিয়া (৪০) কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র। সে তার বাবা মায়ের ৭ সন্তানের মধ্যে ৫ম। নিহত রুক্কু মিয়া ২ ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭) এলাকায় অটো রিক্সা চালায়। ২য় ছেলে হৃদয় ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে শিউলী আক্তার বিবাহিত।
নিহত রুক্কু মিয়ার বড় ভাই নুরুল ইসলাম জানান, তার ভাই তিন বছর পূর্বে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরবের আল কাসিমে যান। তার পূর্বে দেশে সে রিক্সা চালাত। কিছুদিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। দেশে ফেরার পূর্বে ওমরাহ করতে তার ভাই গত সোমবার আল কাসিম থেকে মক্কা যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এই খবর সৌদি প্রবাসী প্রতিবেশী এক নাতির মাধ্যমে জানার পর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী মাছু বেগম কান্না করতে করতে বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। সন্তানদের আহাজারি থামছে না।
তার ভাই বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমরা আমাদের ভাইয়ের লাশ দেশে এনে দাফন করতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি।