৩নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের কবি সরকার মাহমুদ জাবেদের প্রতীক লাটিম

এমদাদুল হক সোহাগ:
সরকার মাহমুদ জাবেদ একজন সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ। কুমিল্লার রাজনীতির মাঠ থেকে বেড়ে উঠা ও পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। রাজনীতিবিদ পরিচয়ের সাথে তাঁর আরেকটি পরিচয় সেটি হচ্ছে তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক ও পরবর্তীতে কুমিল্লার বিশিষ্ট আইনজীবী এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সরকার আবদুর রউফ। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে সরকার মাহমুদ জাবেদ চতুর্থ।

শাসনগাছা রেললাইন, রেইসকোর্স, ধানমন্ডি, ছোটরার আংশিক অংশ ও কালিয়াজুরী নিয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডের পরিধি। ভোটার সংখ্যাও প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার। প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করেছিলেন। নির্বাচনী এলাকার বেহাল চিত্র পাল্টে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছেন পরিপূর্ণ। বিশেষ করে রেইসকোর্স, উত্তর রেইসকোর্স, ধানমন্ডি ও কালীয়াজুরী এলাকার এমন উন্নয়ন হবে এলাকার কেউ কোনদিন চিন্তাও করেননি। অন্যান্য ওয়ার্ডের উন্নয়নের তুলনায় তিন নম্বর ওয়ার্ডং ঈর্শ্বনীয়। নতুন নতুন সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের ফলে এলাকার জলাবদ্ধা অনেকটা দূর হয়েছে। ডিসি রোড থেকে রেইসকোর্স বাকা ব্রিজ হয়ে কাঠেরপুল সড়কটি হয়েছে অত্যান্ত দৃষ্টিনন্দন ও প্রশস্ত। পাশাপাশি এলাকার ছিনতাই চাঁদাবাজি বন্ধে তাঁর উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়। রাষ্ট্রীয় প্রদেয় সকল ভাতা ও সুযোগ সুবিধা সুষ্ঠুভাবে বন্টন করেছেন। নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য চালু রেখেছিলেন দুইটি অফিস। নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে তিনি আস্থা অর্জনে এবার সমর্থ হয়েছেন।

এতসব উন্নয়ননের প্রতিদান হিসেবে তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচনেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। করোনা মহামারির সময় ওয়ার্ডের অসহায় গরীব মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। লকডাউনে দিনে রাতে খাবার নিয়ে ছুটে গেছেন নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরের দরজায়। আত্ম-সম্মান বোধের কারনে ক্ষুদার জ্বালা থাকা স্বত্বেও বলতে না পরিবারগুলোর মাঝেও রাতের আধারে গোপনে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন। এলাকার ভোটারের বাইরে নিম্ন আয়ের বাসিন্দাদেরও দিয়েছেন সাহায্য সহযোগিতা। পেনডামিক চলাকালে মানুষের সেবা করতে গিয়ে দুইবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে ছিলেন। আইসোলেশন শেষে আবারও মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। এলাকার মানুষের বিপদে যখনই তার সাহায্য চেয়েছেন তখনই তিনি তাদের পাশে দায়িছেন।

এবার তৃতীয় বারের মত লাটিম প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। রেইসকোর্স-শাসনগাছা-কালিয়াজুরী এলাকার জনপ্রিয় প্রার্থী তিনি। ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণা চালানো শুরু করেছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। তাদের বিশ্বাস সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫জুনের নির্বাচনে এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে তাদের উন্নয়নের কবি সরকার মাহমুদ জাবেদ।

সরকার মাহমুদ জাবেদ এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছি। ভোটার ও এলাকাবাসীকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আমি পালন করতে সফল হয়েছি। করোনা মহামারি ছিল আমার জন্য অগ্নি পরীক্ষা। আমার জমানো অর্থ আমি অসহায় ও ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে ব্যয় করেছি। তিন নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৩০টি বড় রাস্তা ও ৩৫ টি ছোট রাস্তা ও অসংখ্য ড্রেন নির্মাণ করে জলাবদ্ধা নিরসন করতে পেরেছি। আগে সামান্য বৃষ্টি হলেই রেইসকোর্স এলাকায় হাটু সমান পানি হতো। সেই অবর্ননীয় দুর্ভোগ থেকে এরঅকাবাসী এখন পরিত্রাণ পেয়েছে। এবার নির্বাচিত হলে রেইসকোর্স এলাকার খালটিকে আরো গভীর ও দৃষ্টিনন্দন করা হবে। যার ফলে এই এলাকার জলাবদ্ধা চিরতরে দূর হবে। নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরো ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরায় আওতায় নিয়ে আসা হবে। এলাকার যুব সমাজ ও কিশোরদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমি সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও লাটিম মার্কায় ভোটারদের মূল্যবান ভোট চাই।

Post Under