ফেনীতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দুইদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের শহীদুল্লা কায়সার সড়কের জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের মত এ আসরের আয়োজন করে দৈনিক ফেনীর সময়। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদেও হাতে ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, বিএমএ সভাপতি ডা: সাহেদুল ইসলাম ভূঁইয়া কাওসার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামীলীগের আইন সম্পাদক এম. শাহাজাহান সাজু। দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা বেসরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম. মোর্শেদ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবু জোবায়ের ভূঞা মুন্না, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আরএম আরিফুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেছেন, “আমি তো অভিভূত। অসাধারণ। আমি খুবই কৃতজ্ঞ, এমন অসাধারণ হামদ-নাত ক্বেরাত এবং আজান শুনতে পেরেছি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার কোথাও এমন আয়োজন হয় কিনা আমার জানা নেই। আমাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গন, ধর্মীয় শিক্ষা জীবনে কতটা প্রয়োজন বা ইসলাম যে শান্তির ধর্ম এবং এটা যে পরিপূর্ণ জীবন, ইসলাম ধর্ম যে আমাদের পথ দেখায়, ইসলাম ধর্ম যে আমাদের সহজ জীবন পরিচালনা করতে শেখায়। সেটা কিন্তু আমরা আজকে এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে সেই সকল শিক্ষককে যারা তাদের এত সুন্দর ছন্দ, সুরেলা কন্ঠে, তাদের যে উচ্চারণ, সুর- এ শিক্ষাটা যারা দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ধন্যবাদ জানাই।”
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, “আমরা আমাদের মন থেকে ভেতর থেকে ধর্মকে কতটা পালন করি, আমরা কিভাবে আমাদের ধর্ম শিক্ষাকে সঠিক শিখাবো, কিভাবে আমরা জীবন ধারণ করবো, আমাদের কর্মক্ষেত্রে, ব্যবসা ক্ষেত্রে এবং আমাদের ব্যক্তিগতভবে আমরা আমাদের সমাজে অবদান রাখবো সেটাই কিন্তু আমরা প্রত্যেকে যার যার বক্তব্য থেকে শুনেছি। এ বিষয়টি অর্থাৎ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিষয়টি সমাজের মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাক।”
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেছেন, “ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া সৎ হওয়া যায় না। এজন্য ধর্মীয় শিক্ষাটা একেবারে গুরুত্বপূর্ণ। যে ধর্মীয় শিক্ষা নিবে সে কোন অপকর্ম করতে পারবে না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আজকের বর্তমান সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর সমস্যা হলো কিশোর গ্যাং, মাদক। এ মাদককে এবং কিশোর গ্যাংকে আপনি যদি সমাজ থেকে ধ্বংস করতে চান তাহলে আপনার সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে।”
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসএমটি কামরান হাসানের পরিচালনায় দ্বিতীয় অধিবেশনে বিজয়ী ৭৩ জনকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে পুলিশ সুপার জাকির হাসান প্রধান অতিথি থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। একইদিন দুপুরে বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ইয়েসকার্ড প্রদান করেন ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশীদ।