এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার খলিলপুর-নোয়াবগঞ্জ-সুলতানপুর এলাকার আড়াই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের সাড়ি সাড়ি সবুজ গাছ কেটে উজার করে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সময়ে হিটওয়েব ও
প্রচন্ড গরমে জনজীবন যখন হাঁসফাঁস অবস্থা ঠিক তখনই এভাবে গাছ কাটাকে কেন্দ্র এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাছাড়া সড়কের পাশে লাগানো বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন ফলজ ও কাঠ গাছও কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সচেতন নাগরিকেরা বলছেন, এই গরম বিপর্যস্ত আবহাওয়াতে গাছ কাটার অনুমতি দেয়াটা ঠিক হয়নি। এই গরম ও তীব্র রোদে সড়কে চলাচলে জনসাধারনের কষ্ট বেড়ে যাবে। তারা আরো দুর্ভোগে পরবেন।
জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট চিন্তা করে গাছকাটা ঠিক হয়নি। তবে এ বিষয়টি সামাজিক বনবিভাগের। তারা ভালো বলতে পারবেন।
দেবীদ্বার উপজেলার ফরেস্টার মো: আবদুল মতিন বলেন, খলিলপুর বাজার থেকে সুলতানপুর সড়কের দুপাশে ১৯৯৬-১৯৯৭ অর্থ বছরে সামাজিক বনবিভাগ ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গাছ রোপন করা হয়। গাছগুলো ম্যাচুরিটি হওয়াতে বিক্রির জন্য কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চারটি লটে দরপত্র আহবান করা হয়। সেই দরপত্রের ভিত্তিতে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে দুজন ঠিকাদার গাছগুলো কাটছেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আরো দেড় বছর আগে আমরা গাছ চিহ্নিত করেছিলাম। সেময় ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ফলজ গাছ বাদ দিয়েই গণণার কাজ করেছিলাম।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, এই গাছগুলো সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রোপন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে বনবিভাগ দরপত্রের বিভিত্তিতে বিক্রি করেছেন।