আগামীকাল শুক্রবার তাঁবুর নগরী খ্যাত মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
হাজিরা আজ এশার নামাজের পর মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন। এর আগে মক্কার নিজ নিজ আবাসনে অজু-গোসল সেরে হজের নিয়ত করবেন। আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।
মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনা। সেখানে কেউ গাড়িতে কেউবা যাবেন হেঁটে। হজের অংশ হিসেবে তারা ৭ থেকে ১২ জিলহজ মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় অবস্থান করবেন।
কখন মিনার উদ্দেশে রওনা দিতে হবে প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেওয়া হয়েছে মিনার তাঁবু নম্বর-সংবলিত কার্ড। ওই কার্ড সবসময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়। একইভাবে মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতে কীভাবে কখন রওনা হবেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয় আগেভাগে।
মিনায় পৌঁছে হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতে ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। তবে খায়েফ ও কুয়েতি মসজিদের কাছাকাছি তাঁবু থাকলে মসজিদে গিয়েও নামাজ আদায় করতে পারেন।
৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা।
চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একই সঙ্গে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি।
১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন এবং তাওয়াফ জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন ৭টি করে প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
পবিত্র হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এবার বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি হজ পালন করবেন। বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।