কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দঃুশাসন, অনেক নিপীড়ন আর নির্যাতন হয়েছে। আমাদের কোন কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। দীর্ঘদিন পর আমরা সমবেত হয়ে কথা বলতে পেরেছি। আমাদের এলাকায় কোন চাকুরীও পায়নি, বেকার আমাদের লোকজন তার উপর আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদেরকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। বিএনপি আপনাদের পাশে ছিল, এখনো আপনাদের পাশে আছে, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের সঙ্গে ছিল এবং আপনাদের সঙ্গে এখনো আছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় বলে এসেছেন বন্যার্তদের পাশে থাকার জন্য এবং ধৈর্য ধরার জন্য।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বন্যা পরবর্তী দুযোগ মোকাবেলায় ৪৫০ জন বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে নয়নপুর বাজারে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে এ কথাগুলি বলেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক সচিব, বিশ^ ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ও ব্রাহ্মণবাড়িযা—৪ (কসবা—আখাউড়া) নির্বাচনী এরাকার সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার এক মাস হয়েছে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা চাই তারা কাজ করুক। সাথে সাথে এটাও চাই আগামীতে আপনারা যেন ভোট দিতে পারেন এবং ভোট দিবেন যাকে ইচ্ছা তাকে। আর ভোটটা দেওয়ার জন্য যেন আর পুলিশ পাহাড়া দিতে না হয়। আমরা এমন একটা শাসন ব্যবস্থা চাই যেন আপনারা হাসি মুখে কথা বলতে পারেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছর শাসনামলে দুর্নীতি ও লুটপাটের শাসন ব্যবস্থা ছিল। যেকোন অফিস আদালত টাকা ছাড়া কোন কাজ কর্ম হতো না। দুর্নীতি চরম আকারে দেখা দিয়েছিল। বাজার মুল্য ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় ঢাকা শহরের অনেকে ছেলে—মেয়েদের গ্রামে পাঠিয়ে দিতে হয়েছিল। এই ছিল ১৬ বছরের রাজত্ব। আমারা চাই ঘুষ, দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা।
বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নাদিরুজ্জামান রুমি ভূইয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মুহাম্মদ ইলিয়াছ, কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ—সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ আলী প্রমুখ। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
জনসভা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে যোগ দিয়েছে। এক পর্যায়ে জনসভা বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সন্ধা্যয় তিনি কসবা উপজেলা সদরের একটি দলীয় অফিস উদ্বোধন করেছেন।