কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে সংঘর্ষে শতাধিক আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, ১০ জন আটক

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সোমবার (১৬ জুন) দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে। মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল এর সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ১০জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সমর্থিত লোকজন ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়াল এর সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান এর বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাংচুর চালায়। এ সময় দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় দুইপক্ষই ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। তারা লোহার চল ও টেটা দিয়ে আক্রমণ করে। দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ।  এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

 

এ সময় কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০), টেটা বিদ্ধ সুমন মিয়া (৪৫) গুরুতর আহত অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০জনকে আটক করেছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাংচুর হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ১০জনকে আটক করা হয়েছে।

Post Under