যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৬০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এই বৈশ্বিক মহামারীকে ঘিরে রাজনৈতিক মাঠ সরগরম। মার্কিন নাগরিকরাও যেন করোনায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
ঠিক এমন সময় আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা।
বুধবারেও ৬০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছিলেন। পর দিন সেখান থেকে সামান্য বেড়েছে।
গত বছরের শেষ দিনে চীনে মহামারী শুরু হওয়ার পর কোনো দেশে করোনায় একদিনে এটিই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।
গত দুই সপ্তাহে ৫০টি রাজ্যের ৪১টিতে সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে দেখা গেছে। আর মহামারী কেন্দ্রীক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমেরিকানরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে স্কুল খোলা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল করা নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে বিভক্তি বাড়ছে।
মিয়ামির জ্যাকসন সাউথ মেডিকেল সেন্টারের আইসিইউ চিকিৎসা বিষয়ক পরিচালক ডা. অ্যান্ড্রু পেস্টাওয়াসকি বলেন, এই হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লোকজনের মধ্যে স্বার্থপরতার(মাস্ক না পরা) বিপরীতে পরার্থপরতা এবং যারা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলছেন, তাদের জন্য খুবই হতাশা কাজ করছে। তাদের কাছ থেকেই আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা নিজদের ঝুঁকিতে ফেলছি। অন্যরা কিছু করতে ইচ্ছুক না, তারা ভিন্নভাবে চলছে, রোগকে ছড়িয়ে দিতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় ৯ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ১২০ জন। এটাকে তুচ্ছ আখ্যায়িত করে বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হতে না করেছেন গভর্নর রন ডিস্যান্টিস।