এমদাদুল হক সোহাগ
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে অসহায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষগুলো। প্রবাদ আছে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভাবে বুক ফাটে কিন্তু কখনো মুখ ফুটেনা। করোনায় অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শহরে থাকা প্রচুর মানুষ বাসা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন।
বাড়িওয়ালা সহানুভূতিশীল আচরনের অনুপস্থিতির কারনে আবার বিরক্ত হয়ে অনেকে চলে গেছেন অন্য এলাকার অন্য কোন নতুন বাসায়। করোনায় অনেক বাড়িওয়ালা যেমন সমালোচিত হয়েছেন ঠিক তেমনি অনেক বাড়িওয়ালা তাদের মহানুভবতা দেখিয়ে হয়েছেন প্রশংসিত।
ভাড়া মাফ করে প্রশংসিত হওয়া তেমনি একজন বাড়িওয়ালার নাম মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া।কুমিল্লা নগরীর উত্তর রেইসকোর্স এলাকায় তার ৬য় তলা বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের এক মাসের এক লাখ আঠারো হাজার টাকার বাড়ি ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে যাতে পরিবার নিয়ে ভাড়াটিয়ারা কিছুটা হলেও স্বাচ্ছ্যন্দে ঈদ উদযাপন করতে পারেন মূলত সেজন্যই এক মাসের ভাড়া মওকুফ করেছেন।
প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী। নব্বইর দশকের দিকে আমেরিকায় পাড়ি জমান। ওই দেশে শুরু করেন ব্যবসা। তারপরেও দেশের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক।
প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ভূইয়া লিটন জানান, উত্তর রেইসকোর্স জোড়া বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে ভূইয়া হাউজ নামে ১৪ ইউনিটের ছয় তলা বাড়ির এক মাসের সকল ইউনিটের মোট ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার ভাড়া না নেয়ার কথা ভাড়াটিয়াদের জানানো হয়েছে। মূলত করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনের ভাড়াটিয়াদের পাশে দাড়ানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করেছেন। এই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও ভাড়াটিয়াদের মনের ভেতর সুখ সৃষ্টি করবে। আর্থিক সমস্যায় কিছুটা হলেও সার্পোর্ট দিবে।
ভূইয়া হাউজের তিন তলায় দীর্ঘ দশ বছর ধরে ভাড়া থাকেন জাকির হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার এক মাসের ভাড়া ১২ হাজার টাকা মাফ করেছে বাড়ির মালিক। শুধু আমার না সকল ভাড়াটিয়াদেরই এক মাসের ভাড়া মাফ করেছেন। এই করোনাকালে ১২ হাজার টাকাই অনেক বেশি কিছু। বাড়ির মালিককে অসংখ্য ধন্যবাদ।