পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কাটা পড়া সাবমেরিন কেবল জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যারও সমাধান হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে সাবমেরিন কেবল জোড়া দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন ইন্টারনেটের গতি পুরোপুরি আগের মতো।’
কলাপাড়ায় মাটি কাটার যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে কাটা পড়েছিল দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল লাইন। উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের গোড়া আমখোলাপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সকাল ১০ থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটার পর দেশজুড়ে গ্রাহকেরা ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যায় পড়েন।
ঘটনার পর ডিজিএম তরিকুল ইসলাম জানান, লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার নিয়োজিত শ্রমিকেরা পাশের একটি জমির চারদিকে বাঁধ দিচ্ছিলেন। এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে তোলার সময় কেবলটি কেটে ২০ ফুট ওপরে উঠে যায়।
অবশ্য আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সেভেন স্টার নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ওই এলাকায় জমি কিনেছে। অসাবধানতায় তারটি কেটে যায়।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ৪০ শতাংশের মতো ব্যান্ডউইথ আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) মাধ্যমে, যার ল্যান্ডিং স্টেশন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়।
বাংলাদেশ ২০০৫ সালে প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’-এ যুক্ত হয়। এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ব্যান্ডউইথ পায় বাংলাদেশ।