কুমিল্লার হোমনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নূরনবী (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহত নূরনবী আড়ালিয়া কান্দি গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মিঠাই ভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিঠাই ভাঙা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য রমজান মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে রমজান মেম্বারসহ তার অনুসারীরা গ্রামের বাইরে অবস্থান করছিল। বুধবার ভোরে রমজান মেম্বারের ভাই জুনাব আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন মিঠাইভাঙ্গা গ্রামে গেলে সামাদ মেম্বারের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নুরুন্নবী নিহত হন। আহত হন সাবেক ইউপি সদস্য সামাদ, তার ভাই আব্দুল করিম ও জাহাঙ্গীর আলম। আহতদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা অবনতি ঘটলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নুরনবীর মা সুরাইয়া বেগম জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় ঢাকা যাওয়ার পথে আমার ছেলেকে সামাদ মেম্বারের ছেলে কাইয়ুম ও গনি দৌলতপুর গ্রাম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। সকালে সংঘর্ষের কথা শুনে গিয়ে দেখি, আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানায়, আমার ছেলে মারা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) ফজলুল করিম বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামাদ মেম্বার ও রমজান মেম্বারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নূরনবী নামে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।