এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর সেতুর অযাচিত টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে পরিবহন ধর্মঘটের হুশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন সেক্টর। রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধেরও দাবী জানান পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত চার মাস ধরে পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এরই মধ্যে গত ২৯ জুলাই শাহবাজপুর এলাকায় নবনির্মত সেতুতে যানবাহন পারাপারে টোল আদায়ের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভ্যন্তরে মাত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যে দুই জায়গায় টোল আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। তাছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাঁচপুর সেতু এবং ভৈরবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতুগুলো দৈর্ঘে নবনির্মিত শাহবাজপুর সেতুর চেয়ে অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও সেসব সেতুতে টোল আদায় হয়না। সেক্ষেত্রে শাহবাজপুর সেতুতে টোল আদায়ের সিদ্ধান্তটি রীতিমতোই অযাচিত। তদুপরি সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সিদ্ধান্ত লোকাল বাস মালিকদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। জেলার উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে ২৩৬টি লোকাল বাসের মধ্যে মেড্ডা-সাতবর্গ এবং কাউতলি-সাতবর্গ রুটে ৫২টি গাড়ি প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত চলাচল করে। এ দুই রুটে বাসগুলোকে দৈনিক ছয়-সাতবার শাহবাজপুর সেতু পাড়ি দিতে হয়। এই গাড়িগুলোকে টোলের আওতায় আনা রীতিমতোই অযাচিত। এমনিতেই পরিবহন ব্যবসায়ীরা লোকসানে আছেন, এখন যদি সেতুর টোলও দিতে হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা পরিবহন ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এতে কর্মহীন হবে হাজার হাজার শ্রমিক।
অযাচিত এই টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দেশের পূর্বাঞ্চলের সব জেলায় পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার হুঁশিয়ারী দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। যদি টোল আদায় করতেই হয়, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকাল বাসগুলোকে টোলমুক্ত সুবিধা দেওয়ার দাবী জানান পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন জমশেদ, কোষাধ্যক্ষ কাউসার আহমেদ, জেলা লোকাল বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত খান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।