চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একই বাড়ীর মাদ্রাসা ও স্কুলের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। থানায় জিডির পরে চাপে পড়ে ২দিন পরে স্থানীয় ৩ পুরুষ ও নারী তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বর্তমানে তারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের মধ্যে বাশার মিজি, রুবি বেগম ও আনু বেগম নামে ৩জনকে এলাকাবাসী আটক করেছে। রোববার (১৬ আগস্ট) ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ী থেকে ওই দুই শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়।
হাসপাতাল ও পরিবারের সূত্রে জানাগেছে, ভাটিয়ালপুর মিজি বাড়ী থেকে ১২ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ১৪ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী রোববার একই বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর মা সোমবার (১৭ আগস্ট) ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে চেষ্টায় চালায়। এরই মধ্যে ওই এলাকার টিটু নামক এক ছেলেকে ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ হয়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হলে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের মধ্যে বাশার মিজি, রুবি বেগম ও আনু বেগম নামে ৩জন ওই দুই শিশু শিক্ষার্থীকে আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উদ্ধার করে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। শিশুদের উদ্ধারকারী ওই ৩ নারী ও পুরুষ বর্তমানে মিজি বাড়ীতে আটক রয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজা উদ্দৌলা রুবেল জানান, দুই শিশুর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে।
ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শিকদার হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর সোমবার এক শিক্ষার্থীর মা থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। সে আলোকে এলাকায় গিয়ে জানতে পারি টিটু নামে ঢাকায় বসবাসরত এক ছেলের সাথে এক শিক্ষার্থী সম্পর্ক রয়েছে। সে হিসেবে এলাকায় বিভিন্ন লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে করে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। দুই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ার কারণে তাদেরকে থানায় না এনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভর্তি করেছেন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে থানায় মামলা নেয়া হবে।