এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মাইক্রোবাসে মাদক পাচারকালে বিজিবি’র হাতে আটক হলেন চিহ্নিত দুই মাদক কারবারি। তাদের প্রদত্ত তথ্যমতে উদ্ধার হলো মাদক প্যাকিংয়ের বিশেষ ধরণের সামগ্রী এবং একই নম্বর সম্বলিত অনুরূপ আরেকটি মাইক্রোবাস! আটককৃত দু’জনকে জব্দকৃত সাড়ে ১১ কেজি ভারতীয় গাঁজা, একই নম্বরের দু’টো মাইক্রোবাস এবং গাঁজা প্যাকিংয়ের বিপুল পরিমাণ বিশেষ প্যাকিং সামগ্রীসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিজিবি’র হাতে আটককৃতরা হলেন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাথারিয়াদ্বার গ্রামের মৃত নুরু খন্দকারের পুত্র মো. হান্নান খন্দকার (৫৮), মধুপুর গ্রামের উলফত আলীর পুত্র মো. দুলাল মিয়া (৩৫)।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়ন সুত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ৬০ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন চণ্ডিদ্বার বিওপি ক্যাম্পের জওয়ানরা মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে সীমান্ত পিলার ২০৩৭/৫-এস এর আড়াই কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণগ্রাম রেলগেটের পাশে কসবা-আখাউড়া সড়ক থেকে সাড়ে ১১ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ একটি মাইক্রোবাস এবং চিহ্নিত দুই মাদক কারবারীকে আটক করে। পরে আটককৃতদের প্রদত্ত তথ্যমতে পাথারিয়াদ্বারস্থ হান্নান খন্দকারের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে গাঁজা প্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ বিশেষ ধরণের প্যাকিং সামগ্রী, দুইশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া আটককৃতদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির অনুরূপ একই নম্বর সম্বলিত অপর একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয় ওই বাড়ি থেকেই। জব্দকৃত ভারতীয় গাঁজা ও মাইক্রোবাসের আনুমানিক মূল্য ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫০ টাকা বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেন।পরে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মাইক্রোবাসসহ আটককৃত চিহ্নিত মাদক কারবারী হান্নান খন্দকার এবং দুলাল মিয়াকে কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এস.এম মেহেদী হাসান বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।