গ্রেটার কুমিল্লা:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহর কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়-সাত জন যুবক ওই প্রকৌশলীর উপস্থিতিতেই তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কুসিকের সাধারণ কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কুসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ্ সাংবাদিকদের জানান, ‘ট্যাক্স শাখায় মাস্টার রোলে কর্মরত দুই কর্মচারীর অনিয়মের অভিযোগে তাদের আগস্ট মাসের বেতন বন্ধ রাখা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) স্টাফ মিটিংয়ে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে ছিলাম। মিটিংয়ের পর আমি কার্যালয়ে যাই। এসময় ছয়-সাতজন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং টেবিলের গ্লাস ও চেয়ার ভাংচুর করে।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুসিকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ‘একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের অনিয়মের কারণে ওই প্রকৌশলী ঠিকাদারের চাহিদা মতো বিল পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও তার লোকজন প্রকৌশলীর উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়া স্টাফ মিটিংয়ে ওই প্রকৌশলী সিটি করপোরেশনে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে বক্তব্য দেয়ার পর তাঁর অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। ভাংচুরকারীরা বহিরাগত। এ ঘটনায় সিটি ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।’ তবে এমন কথা স্বীকার করতে নারাজ ওই প্রকৌশলী। এ বিষয়ে কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি ঢাকায় আছি। ডেইলি লেবার এবং স্থায়ী লেবারদের মাঝে কাজকর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি, এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। ভাংচুরের বিষয়টি ততত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানেন।’ র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, সিটি করপোরেশন থেকে খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের জানান, ‘কর্মচারীর বেতন নিয়ে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর টেবিলের গ্লাস ফাঁটা। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’