এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যৌতুকের গঞ্জনায় শেষতক গলায় দড়ি দিলো এক সন্তানের জননী ও অন্ত:সত্ত্বা নাসরিন আক্তার (২২)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শ্বশুরালয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নাসরিন ওই গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ গাছতলা গ্রামের ওসমান মিয়ার মেয়ে।
নিহতের পরিবার, এলাকার লোকজন এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত তিন বছর আগে নবীনগর উপজেলার শিবপুর খায়ের বাড়ির মো. আবুল খায়েরের পুত্র আতিকুর রহমানের (২৭) এর সাথে বিয়ে হয় নাসরিনের। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হলেও কোনোই সুফল পাওয়া যায়নি। গত কিছুদিন আগেও আতিকুর তার স্ত্রী নাসরিনের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুড় বাড়ি থেকে খবর আসে নাসরিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।পরে তারা পুলিশকে অবহিত করলে নবীনগর থানাধীন শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহহতের পরিবারের অভিযোগ নাসরিনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেছেন।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘পারিবারিক কলহের কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।