নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, অসৎ রাজনীতিবিদদের দাপটে আজ সৎ রাজনীতিবিদরা প্রশ্নবিদ্ধ। অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে সৎ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। অসৎ সাংবাদিকরা সারা জাতিকে জিম্মি করতে চাইছে। তাদের কারণে সৎ সাংবাদিকরাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অসৎ কর্মকর্তাদের জন্য সৎ কর্মকর্তারা কাজ করতে পারছেন না। অসৎদের দাপটে আজ সকল পেশাই সৎ লোকেরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরির্বতন ঘটাতে হবে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু সতাতার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে ৫০ বছর ধরে কুমিল্লার মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি। সততার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেনি। কেউ যদি প্রমান করতে পারে ৫০ বছরের রাজনীতিক জীবনে ৫০টাকার টাকার বিনিময়ে কোন কাজ করেছি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। সততা ও ন্যায়ে পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করে তুলতে শিক্ষকদের সৎ হতে হবে সততার শিক্ষা দিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ আয়োজিত “চেতনায় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিলা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বোর্ড মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজন কমিটির আহবায়ক কাজী মোহাম্মদ ফারুক, অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক লুৎফুন্নাহার লাকী, “চেতনায় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক প্রকাশনার সম্পাদক আবু নায়ীম আল মামুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চারু ও কারুকলা বিভাগের প্রভাষক ঝুমুর দাশ।
হাজী বাহার এমপি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মাথা উচুঁ করা সাহসী রাজনীতিবিদ বিশে^র ইতিহাসে আরেকজন খুঁজে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের শিক্ষাখাত। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনাবেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ফলে দেশের অগ্রযাত্রা থেমে গিয়েছিল। যার ফলশ্রæতিতে মাধ্যমিককে বিনামূল্যে বই পেতে দুই দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে মাধ্যমিকের সকল ক্লাসে বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বুলেট গতিতে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যার সুফল পাচ্ছে দেশের সকল পেশার মানুষ। এর উদাহরন এই শিক্ষাবোর্ড কলেজে একসময় ১৬ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হতো। মুজিববর্ষে এ কলেজটি জাতীয়করণের ফলে আজ শিক্ষার্থী ১৬ শত টাকা দিয়ে ভর্তি হতে পারছে। দেশের অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র করে উন্নয়নের গতি কমানো গেলেও আমাদের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।