হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী-শাশুড়ির পলায়ন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গৃহবধূ সাবিনা বেগম। টানা চার দিনের মাথায় মারা গেলে হাসপাতালে লাশ রেখেই স্বামী-শাশুড়ি-স্বজনরা পালিয়েছেন বলে ওঠেছে অভিযোগ। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পাঠিয়েছেন মর্গে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৃত্যুবরণকারী গৃহবধূ সাবিনা বেগম (৩৮) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিন জগৎসার গ্রামের মধ্যপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জাহের ভূইয়া মেয়ে এবং একই গ্রামের উত্তরপাড়ার মো. আনোয়ার মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে সাবিনা (৩৮) নামের ওই মহিলাকে তার স্বামী আনোয়ার মিয়া আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করান। হাসপাতালে টানা চারদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বুধবার বিকেলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মারা যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এ.বি.এম মূসা চৌধুরী সাবিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুর কথা শুনে সাবিনার লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী-শাশুড়িসহ স্বজনরা কৌশলে সটকে পড়েন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হিমেল খান জানান, গত চারদিন আগে সাবিনাকে হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারনে তার স্বামী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেছিল। তখন থেকেড সাবিনার অবস্থা ছিলো সঙ্কটাপন্ন। পরবর্তীতে মেডিসিন কনসালটেন্ট তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু তারা ঢাকা যায়নি। পরে বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবিনা মারা যায়। মারা যাওয়ার পরপরই স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদশর্ক (ওসি) আবদুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘সাবিনা নামের গৃহবধূর লাশ রেখে স্বজনরা পালিয়েছে এমনটি হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি। পরবর্তীতে হাসপাতালে পুলিশ  গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে মৃতের ভাই সুমন মিয়ার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
Post Under