এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঝরণা বেগম ও সুমন মিয়া। সম্পর্কে মা-ছেলে। দু’জনেই সম্পৃক্ত ছিলো মাদক ব্যবসায়। তাদের জিম্মা থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট। শুধু তাই নয়, তাদের প্রদত্ত তথ্যে জব্দ করা হয় মাদক পাচার কাজে ব্যবহৃত দু’টো স্পীডবোট। এহেন ঘটনায় মা-ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এলিট ফোর্স র্যাব। তিন বছরের মাথায় এই মামলার রায়ে মা-ছেলেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আরো পড়ুনঃ
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের কালা মিয়ার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫৪) এবং তার ছেলে সুমন মিয়া (২৮)। বুধবার (১০.৯২) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের হাকিম সাবেরা সুলতানা খানম প্রদত্ত রায়ে মা-ছেলে প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায় ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত সুমন আদালতে হাজির থাকলেও তার মা ঝরণা বেগম রয়েছেন পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দিতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ ঝরণা বেগম ও তার ছেলে সুমন মিয়াকে আটক করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি স্পীডবোট। এসময় পলাতক ফরিদ মিয়া ও সবুজ মিয়া নামের দুই জনসহ মা-ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে র্যাব। ওই মামলায় সবুজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরই মাঝে মা-ছেলে ঝরণা ও সুমন জামিনে ছাড়া পান। বুধবার দুপুরে রায় প্রদানকালে ছেলে সুমন মিয়া উপস্থিত হলেও মা ঝরণা বেগম পলাতক ছিলেন। পলাতক ঝরণা বেগম যেদিন গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ করবেন, সেদিন থেকে তার সাজা কার্যকর হবে। অপর আসামী ফরিদ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে দেয়া হয় বেকসুর খালাস দেন আদালত।