এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, নেই সেখানে শিক্ষার্থীদের পদচারণা-কোলাহল। দেখতে দেখতেই কেটে গেলো এই অবস্থার এক বছর। বৈশ্বিক মহামারী করোনার উপদ্রবজনিত কারণেই এমন অভাবনীয় দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে। সবচে’ বড় বিষয়, জাতির জন্য ঘটেছে অপূরণীয় ক্ষতি। অবশেষে সচল হতে যাচ্ছে সুদীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে সেই প্রস্তুতি। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালিত হবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুনঃ
সূত্র জানায়, দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর এখন চলছে শ্রেণীকক্ষসহ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। সরকারি ঘোষণা মোতাবেক যেকোন সময় বিদ্যালয় খোলার জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীরা যাতে বিদ্যালয়ের প্রবেশের পরপরই হাত-মুখ ধুতে পারে সেজন্য বিদ্যালয়ের সামনে স্থাপন করা হচ্ছে একাধিক পানির টেপ। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শিক্ষকরা যাতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতিসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।