এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চালের পোকা মারার কীটনাশক খেয়ে ফেলেন গৃহবধূ হেনা বেগম (২০)। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। ‘রোগী মারা গেছেন’ একথা শোনার পর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখেই সঙ্গে আসা স্বজনেরা পালিয়ে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ঘটা এই ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।
বুধবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গৃহবধূর মৃত্যুর পর ঘটে এই ঘটনা। হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় ওই গৃহবধূর পরিচয় লেখা রয়েছে, জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফকিরদিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী।
আরো পড়ুনঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স আতিকুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হেনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে একজন মহিলা ও দু’জন পুরুষ জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এসময় তারা নিজেদেরকে ওই গৃহবধূর স্বজন পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি চালের পোকা মারার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান হিমেল জানান, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার অন্তত আধঘণ্টা আগেই ওই গৃহবধূ মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সংবাদের পরপরই তার সঙ্গে আসা এক মহিলা ও অপর দু’ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশ ফেলে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মূল ঘটনা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।