ভারতের আনন্দবাজার পত্রকিা সত্রে জানা যায়, জঙ্গিদের অস্ত্র জোগানোর জন্য জম্মু-কাশ্মীরের আকাশে ওড়া পাকিস্তানের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পাক ড্রোনটিকে কাঠুয়ার কাছে গুলি করে নামানো হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ড্রোনটি থেকে একটি মার্কিন এম-৪ রাইফেল, দু’টি ম্যাগাজিন ও প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে জম্মুতে নিহত জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গির কাছ থেকেও এমন সব অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকার জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করতেই পাক ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল। এক পদস্থ পুলিশকর্তার কথায়, “যে জঙ্গির জন্য ওই অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল, তার নামও জানা গিয়েছে। পাক ড্রোনের পে-লোডেই লেখা ছিল ওই জঙ্গির নাম। আলি ভাই। সে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য।’’
পুলিশকর্তাটি এও জানিয়েছেন, ড্রোনটি চওড়ায় ৮ ফুটের। কাঠুয়া সেক্টরের পানেসরে বিএসএফ-এর চৌকির ঠিক উল্টো দিকে থাকা একটি পাকিস্তানি পকেট থেকে ড্রোনটি ছোড়া হয়েছিল আর তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ যখন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা, আকাশে ওড়া পাক ড্রোনটি তখনই তাঁদের চোখে পড়ে। সেটি ভারতীয় এলাকার ২৫০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে ড্রোনটি লক্ষ্য করে ৯ রাউন্ড গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা।
পুলিশকর্তাটির কথায়, “শান্তি বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে উপত্যকায় সক্রিয় জইশ জঙ্গিদের সক্রিয় করে তুলতে পাকিস্তান যে সব সময়েই নির্লজ্জ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এই ঘটনায় তা আরও এক বার প্রমাণিত হল।’’
তিনি জানান, এর আগেও পাক ড্রোনের মাধ্যমে উপত্যকার জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা চালানো হয় কুপওয়ারা, রজৌরি ও জম্মু সেক্টরে। প্রতি বারই তাদের সেই চেষ্টা ভেস্তে যায় বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায়।