কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন।জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন ২ আগস্ট বিকেল ৬ টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,১লা আগস্ট রবিবার বিকেল থেকে ২ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
শনাক্তদের মধ্যে ১৭৪ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ৪৩, সদর দক্ষিণের ৩২, বুড়িচংয়ের ৩৮, ব্রাহ্মণপাড়ার ২৫, চান্দিনার ৪১, চৌদ্দগ্রামের ৯৭, দেবিদ্বারের ৫৭, দাউদকান্দির ৪৪, লাকসামের ৫৬, লালমাইয়ের ৪০, নাঙ্গলকোটের ৬৬, বরুড়ার ৬১, মনোহরগঞ্জের ৩৭, মুরাদনগরের ৬৩, মেঘনার ১৪, তিতাসের ১২ জন এবং হোমনা উপজেলার ২৮ জন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন,দেবিদ্বারের, মনোহরগঞ্জের দুইজন করে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের, চৌদ্দগ্রামের,চান্দিনার দাউদকান্দির, লালমাইয়ের বরুড়ার মুরাদনগর একজন করে রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে আটজন নারী এবংপাঁচ জন পুরুষ।
জেলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪২জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২৫ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৬ হাজার ৮১৬ জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন জানান,চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩৫-৪০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।