কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টায় নাঙ্গলকোট পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহতের প্রতিবাদের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি। কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া যোগ দেন। আগে থেকেই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কথা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। সকাল ৯টার আগে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, কিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলার লোটাস চত্বরে ভাংচুর, নৌকার ভাস্কর্যে ভাংচুর সহ আতংক সৃষ্টি করে। এসময় তারা খালেদা-খালেদা, জিয়া-জিয়া স্লোগান দিতে দেখা যায়। অপরদিকে বিক্ষুব্ধরা একটি মোটর সাইকেলে আগুন দিয়েছে। পুলিশের ছুড়া টিয়ারশেলে ও আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তারা। এ সময় পুলিশ অনুমতি নিয়ে আসার জন্য বললে জবাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘আগেই অনুমতি নিয়ে এসেছি’ বলে জানায়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও যোদ দেয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। পুলিশ আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলাম। বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আমরা কারও ওপর হামলা চালাইনি।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না। আমি আহত সদস্যদের সেবা নিশ্চিতে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’