কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঋষিপল্লীর আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলাল মিয়া (৩৮) নামের এক রিক্সা গ্যারেজের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে রাউৎহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষনের শিকার হওয়া ওই শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া দুলাল মিয়া কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দাইসার গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি রাউৎহাট বাজারে রিক্সা গ্যারেজের মালিক। তাকে আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুলাল মিয়া রাউৎহাট বাজারে রিক্সা গ্যারেজ এর ব্যবসা করেন। রাউৎহাট ঋষিপল্লীর আট বছর বয়সী এক শিশু কন্যা গত শুক্রবার (৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে চিপস কিনতে যাওয়ার সময় দুলাল মিয়া শিশুটিকে চিপস দিবে বলে গ্যারেজে ডেকে নেয়। এ সময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে বললে শিশুটিকে খুন করে ফেলার ভয় দেখায়।
পরদিন শনিবার (৪ ফেব্রæয়ারি) বিকালে আবারও শিশুটি দুলাল মিয়ার গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলেও দুলাল মিয়া পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে গত রোববার রাতে দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। রাতেই পুলিশ রাউৎহাট বাজার এলাকা থেকে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ সোমবার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এদিকে শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটির মা বলেন, তাঁর মেয়ে চিপস কিনতে দোকানে যাওয়ার পথে গ্যারেজের মালিক দুলাল মিয়া চিপস দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তার মেয়েকে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, শিশুটিকে পরপর দুইদিন রিক্সা গ্যরেজে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির মা বাদী হয়ে দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় মামলা করেছে। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।