নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা শহরতলীর আলেখাচরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা করেছে। তাঁরা হলেন মামলার এজহার নামীয় ৯ নম্বর আসামী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এয়ার আহমেদ ও ৬ নম্বর আসামী কুমিল্লা (দ:) জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান পাভেল। এ দুই আসামী উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: হেলাল উদ্দিন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর এনামুল হক হত্যা মামলায় ১০ এজহার নামীয় আসামীর মধ্যে দুই কিলার আমানুল্লাহ ও সাঈদ সহ এ পর্যন্ত ৫ আসামী কারাগারে গেলেন। জামিনে রয়েছেন এক আসামী। অপরদিকে প্রধান আসামী খুনের মুল পরিকল্পনাকারী জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুুলিশ।
জানা যায়, গত ১৯ মে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখাচর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক (৩৫) স্থানীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলা ও ছুরিকাঘাতে খুন হন। ওই দিন রোজা মুখে ছিলেন এনামুল। দিনদুপুরে ৫ বছরের শিশু পুত্রের সামনে এনামুলকে প্রকাশ্য কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়।
স্থানীয় জামায়াত কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণে ক্ষুব্দতা ও আলেখাচর দক্ষিন পাড়া জমিরিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির দখল নিয়ে বিরোধ ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক কে হত্যা করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
ছবি: কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হত্যা মামলায় জামিন বাতিল করে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে সোমবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা
মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা শহরতলীর আলেখাচরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা করেছে। তাঁরা হলেন মামলার এজহার নামীয় ৯ নম্বর আসামী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এয়ার আহমেদ ও ৬ নম্বর আসামী কুমিল্লা (দ:) জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান পাভেল। এ দুই আসামী উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: হেলাল উদ্দিন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর এনামুল হক হত্যা মামলায় ১০ এজহার নামীয় আসামীর মধ্যে দুই কিলার আমানুল্লাহ ও সাঈদ সহ এ পর্যন্ত ৫ আসামী কারাগারে গেলেন। জামিনে রয়েছেন এক আসামী। অপরদিকে প্রধান আসামী খুনের মুল পরিকল্পনাকারী জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুুলিশ।
জানা যায়, গত ১৯ মে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখাচর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক (৩৫) স্থানীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলা ও ছুরিকাঘাতে খুন হন। ওই দিন রোজা মুখে ছিলেন এনামুল। দিনদুপুরে ৫ বছরের শিশু পুত্রের সামনে এনামুলকে প্রকাশ্য কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়।
স্থানীয় জামায়াত কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণে ক্ষুব্দতা ও আলেখাচর দক্ষিন পাড়া জমিরিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির দখল নিয়ে বিরোধ ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক কে হত্যা করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরদির (২০ মে) কাজী জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১০ জন নামীয় সহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা আবদুল অদুদ। এ মামলায় গত জুন মাসে এজহার নামীয় ৬ আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। প্রধান আসামী কাজী জহিরুল ইসলাম ও তার দুই ভাই কাজী এনামুল হক ও কাজী নাজমুল হকের উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ গত ১৭ জুলাই শেষ হলেও তারা নি¤œ আদালতে এখনো ( ২৪ জুলাই এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত) আত্মসমর্পন করেননি।
এদিকে খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকান্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কাজী নিজামউদ্দিন সহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী আমানউল্লাহ ও আবু সাঈদ খুনের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে গত ২১ মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা এজহারনামীয় আসামী ছাড়াও খুনের সাথে জড়িত আরও ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন একই গ্রামের মনির হোসেন, আলম ও জাকির হোসেন (সৈনিক) ও বাতেন। এদের মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মনির হোসেন।
অপরদিকে, ঘটনার দিন রাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামী কাজী নিজামউদ্দিন গত জুন মাসে উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিনে বেরিয়ে আসেন। নিজামউদ্দিন আলেখাচর দারুসুন্নাৎ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার পদে রয়েছেন। বাদী পক্ষের অভিযোগ নিজামউদ্দিন জামিনে এসে বাদীর পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্য হুমকী দিচ্ছেন। গত ১৬ জুন নিহত এনামুলের ছোট বোন নুরুন্নাহার ও নুরজাহানকে হত্যার হুমকীর অভিযোগে নিজামউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া মামলার বাদীর পক্ষে কাজ করায় নিহত এনামুলের সহপাঠি আলমগীরকেও হুমকী দমকির অভিযোগে কাজী নিজামউদ্দিন, তার ভাই ও ছেলে সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিহত এনামুলের পিতা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, খুনিরা প্রভাবশালী, প্রধান আসামী ও তার ভাইরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে। খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কাজী নিজামুদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিনে এসে আমার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। তারা আবারও যেকোন অঘটন ঘটাতে পারে। এনামুলের অল্প বয়সে বিধাব হওয়া স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আতংকে রয়েছি।
মামললার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টমমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামী কাজী জহিরুল ইসলাম সহ পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে আমরা তৎপর রয়েছি। মামলাটি অধিক গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, এনামুল হত্যা মামলার নামীয় ১০ আসামীরা হচ্ছেন আলেখাচর গ্রামের মৃত কাজী আবদুল খালেকের পুত্র জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম জহির (৪০), কাজী এনামুল হক (৩৮), কাজী নাজমুল হক (৪২), কাজী আমিনুল ইসলামের পুত্র কাজী আমান উল্লাহ (২৭) , জাকির হোসেনের পুত্র আবু সাঈদ (২৩), আবদুল মালেক সর্দারের পুত্র আতিকুর রহমান পাভেল (৪৫),মৃত আবদুল মোতালেব এর পুত্র কাজী নিজাম উদ্দিন, জয়নাল আবেদিনের পুত্র বিল্লাল হোসেন (৩৫),মৃত কেরামত আলীর পুত্র ইয়ার আহম্মেদ (৪৮), মৃত তোয়াচ্ছিন এর পুত্র জাকির হোসেন (৪৫)। এছাড়া ৫-৬ জন ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে।