এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মেঘনাবক্ষে মাছ ধরছিলেন তিন জেলে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল উঠানামার ফেরির সাথে আচমকা ধাক্কা লেগে ডুবে যায় নৌকা। নৌকায় থাকা তিনজনের মধ্যে দু’জন সাঁতরে তীরে ওঠতে সক্ষম হলেও পঞ্চাশোর্ধ জেলে হোসেন মিয়া হন নিখোঁজ। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা এলাকার।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার আশুগঞ্জ বাজারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া জেলে হোসেন মিয়া (৫৫) উপজেলার তালশহর এলাকার বাছির বাড়ির মৃত সিদ্দিক মিয়ার পুত্র। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই একটি ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে হোসেন মিয়াসহ আরো দুইজন মেঘনা নদীতে মাছ ধরছিলেন। সকালে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন প্রজেক্টের মালামাল উঠানামার কাজে ব্যবহৃত ফেরির সাথে তাদের নৌকাটির আচমকা ধাক্কা লাগে। এতে তারা তিনজনই নদীতে ছিটকে পড়ে যাওয়াসহ তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় থাকা দু’জন সাঁতরে তীরে ওঠতে সক্ষম হলেও হোসেন মিয়া নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ ডুবে যাওয়া নৌকা ও জাল উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হোসেন মিয়ার হদিস মিলেনি।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্ষাকাল, নদীতে পানি বেশী হওয়ার কারণে নিখোঁজ ব্যক্তির হদিস মিলছে না। চেষ্টা অব্যাহত আছে, তাকে উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি।