ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ একজন মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।
সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী–নিয়ন্ত্রিত দোনবাসের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, এটা বড় ধরনের যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ গণমাধ্যমে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতায় আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুতিনের আদেশের পর ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের শহরে ট্যাঙ্কসহ সামরিক যানের গতিবিধি দেখেছেন গণমাধ্যম রয়টার্সের একজন কর্মী।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট তীব্রতর হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্য বলছে, রাশিয়ার ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডলারে রুশ কোম্পানিগুলোর প্রবেশাধিকার এবং লন্ডনে তাদের পুঁজি বৃদ্ধি থামানো হবে। যদিও রাশিয়ার কোন ব্যক্তিবর্গ এবং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে যুক্তরাজ্য সেটা প্রকাশ্যে আনেনি।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুব শিগগিরই সংসদে বিবৃতি আকারে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সভাপতিত্বে ইতোমধ্যে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।