‘ইলেকশন নিয়ে বিতর্ক কিছু থাকবেই’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীর যেকোনো দেশের কথা বলেন, নির্বাচনে কম-বেশি কিছুটা টেন্স আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ভারতে বা বাংলাদেশে হোক। কোথাও একটু বেশি, কোথাও একটু কম।’
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমেরিকায় যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন… সেখানে অনেক বিতর্ক আছে। ইলেকশন নিয়ে বিতর্ক কিছু থাকবেই। তবে এটা সম্ভাব্যভাবে কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা উচিত। আমরা সরকারের পক্ষ থেকেও চাই একটা শৃঙ্খলা আসুক।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভায়োলেন্স আগের তুলনায় কমেছে। আগে তো মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়ে মারামারি-পিটাপিটি করে, কেন্দ্র থেকে সবাইকে পিটিয়ে বের করে সিল মেরে ১০৯ শতাংশ ভোটে পাশ ঘোষণা করেছে। এখন তো ওই জায়গা থেকে আমরা কিছুটা বের হয়েছি। তারপরও আমাদের ভেতরে বিতর্ক আছে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে না। মন্ত্রী তো নির্বাচনে কোনো দায়িত্ব পালন করে না। সচেতন মানুষ হিসেবে তো আমি দেখছি। আমরা চাই এই অবস্থার উন্নতি হোক।’
ইসি থেকে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই। আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থায় অবস্থান করছি। নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। যারা নির্বাচিত হবে তারা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে।’
জাহাঙ্গীর আলম দলীয় প্রার্থী ছিলেন, তাকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে দেওয়া হলো- এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দলের প্রার্থিতা অনেকেই চায়, একজনকে মনোনয়ন দেয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কয়েকজন মনোনয়ন চাইবে, একজনকে দেবে। যিনি এখন আছেন, তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। আবার একই ব্যক্তি পেতেও পারেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত।প্রধানমন্ত্রী দলের সভানেত্রী, ওনার নেতৃত্বে বোর্ডের সভায় চূড়ান্ত করা হয়।’
‘বিরোধী দল বের হতে পারে না’- এ অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সঠিক নয়। আমরা কুমিল্লায় দেখলাম, সেখানে যদিও তাদের নামে মনোনয়ন দেয়নি। সেখানে ২ জন দাঁড়িয়েছে। একজন সাক্কু ও অন্য জন বিএনপির। তারা প্রচুর ভোট পেয়েছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রচুর লোক মার খেয়েছে। অন্তত ২০০-৩০০ জন আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। প্রশাসনও তাদের পিটিয়েছে। অনেককে অ্যারেস্ট করেছে।’
এ সময় তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একজন রাজনৈতিককর্মী হিসেবে আমার প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু সারা জীবনের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, স্বপ্ন দেখেছেন তিনি সোনার বাংলা গড়বেন; সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। এটা করতে হলে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সামাজিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকতে হবে।’