নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার প্রথম অভিজাত বিপনী বিতান ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজার দোকান মালিকদের ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। দোকান মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মালিক সমিতির সঞ্চয় থেকে ওই টাকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা দোকান মালিক সমবায় সমিতি।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে মার্কেটের মালিক সমিতি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই টাকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দোকান মালিক সমতিরি প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মমিন ফেরদৌস, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরে আলম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ।
শুরতেই মার্কেটের দোকান মালিক মো: হুমায়ুন কবির, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য দোকান মালিকদের প্রতি দোকানের বিপরীতে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দোকান মালিক সমিতির উপদেষ্টা সাজেদুল ইসলাম শাহ আলম, বেলায়েত হোসেন, দোকান মালিক সমিতির, সদস্য হাসান মোর্শেদ, মাসুম আলম পলাশ, আব্দুর রব ভূইয়া লিটন প্রমুখ।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের ৬৫ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল, কমন চার্জ, কমন বিদ্যুত বিল মওকুফ করা হয়েছে। তাছাড়া তিন মাসের দোকান ভাড়ার অর্ধেক মওকুফ করারও ঘোষণা দিয়েছে দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
মার্কেটের মালিক সমিতি অফিসে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া, মার্কেটের দোকান মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি দোকানের বিপরীতে ১০ হাজার টাকা প্রদান করারও ঘোষণা দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মার্কেটের ব্যবসায়ীদের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং তাদের জীবন যাপন সহজ ও অধিকতর সুবিধা প্রদানের লক্ষে এপ্রিল এবং মে মাসের বিদ্যুত বিল, কমন বিদ্যুত চার্জ, সার্ভিস চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। মওকুফ করা টাকা মালিক সমিতির ফান্ড থেকে বহন করা হবে। তাছাড়া, এপ্রিল, মে এবং জুন পর্যন্ত তিন মাসের দোকানের ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন অর্ধেক করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। জুলাই মাসের কর্মচারীদের বেতন সম্পূর্ণ পরিশোধ করলেও কোন বোনাস না দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে, এপ্রিল ও মে এই দুই মাসের মালিক সমিতির মাসিক সঞ্চয়ের ১০০০ টাকাও নেওয়া হবেনা বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম ভূইয়া বলেন, মহামারী করোনার কারনে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দুই মাসের বিদ্যুত বিল, কমন চার্জ, কমন বিদ্যুত চার্জ মওকুফ করে মালিক সমিতির ফান্ড থেকে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে, তিন মাসের দোকান ভাড়ার অর্ধেক মাফ করে দেয়া হয়েছে। কর্মচারীদের তিন মাসের বেতনও অর্ধেক করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, মালকি সমিতির সঞ্চয়ের দুই মাসের এক হাজার টাকাও নেওয়া হবেনা। দোকান মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলহজ্ব নুরে আলম ভূইয়া বলেন, ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে হবে। করোনার কারনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দোকান মালিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে প্রনোদনা মূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।