আনিসুর রহমান মিঠুঃ
জমে থাকা পানির জন্য রাস্তা গুলোকে মনে হচ্ছে নদী। শহরের হাজার হাজার মানুষের ঘরের ভেতর হাটু পানি। রাতে সাপের কামরের আশংকা নিয়েও আনন্দে ঘুমিয়েছেন বহু মানুষ ।
জমে থাকা পানির কারনে নতুন রাস্তা গুলোও আবার নস্ট হবে দ্রুত, সমস্যা কিছু নাই আবারো টেন্ডার হবে। আগের ঠিকাদরই আবার কাজ করবেন, কারন তারা ইতিমধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
ময়লা কাঁদা পানিতে থৈথৈ করছে চারিদিক, ডাস্টবিনের ময়লা পলিথিন ভাসছে শহরময়,কেউ কেউ মনের আনন্দে মাছ ধরছে উঠানে, স্কুল মাঠে, ড্রেনে-
উন্নত বিশ্বের দেশেও এতো আনন্দ সাধারনত দেখা যায়না মানুষের মনে। কারো কোন অভিযোগ নেই, বৃষ্টি দিছে আল্লায়, অন্যেরে দোষ দিয়া কি লাভ ?
এ ধরনের সমস্যা, ভালো সমাধানের পথও তৈরী করে। অনেকেই বাসার নিচতলাকে উচু করে কার পার্কিং করার কথা ভাবছেন। এতে করে যানজটও কমবে ভবিষ্যতে।
তাছাড়া এ পানিতে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট , রাস্তায় পরে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক বোতল,ডাষ্টবিনের ময়লা আবর্জনা , এটা খারাপ নাতো!
বিশ্বের অন্যতম ধুলিময় শহরে আজ ধুলা বালি নেই। রেস্টুরেন্ট এর খাদ্যের সাথে আজ রাস্তার বালি না মেশার কারনে, রেস্টুরেন্ট এর খাদ্যের মান সামান্য খারাপ হতে পারে, এছাড়া সব ভালোই হচ্ছে-
নতুন ভাবে নির্মান ও সরু করা ড্রেন গুলোতে সিমেন্ট কম দেয়ায়, সেগুলো সিমেন্ট এবং তিন নাম্বার সুর্কিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায়, জনগন এই লক ডাউনেও জোয়ার ভাটা দেখে বিমলান্দ লাভ করছে ।
আসলে আমরা অনেক প্রজেটিভ চিন্তা করতে শুরু করতে পারছি এটা হচ্ছে আশার কথা।
যেমন বড় বড় সৎ নেতারা আজ শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, কারন রিজিক হচ্ছে আল্লার দান, আল্লাহ্ জানেন কাকে টাকা দিলে জনগন ত্রাণ পাবেন, তাই তাদেরকেই দিচ্ছেন-
আগে কর্মীরা নেতাদের সততার কথা বলতেন, নেতা বিনয়াবনত চিত্তে চুপ থাকতেন, এখন নেতা নিজেই নিজেকে সৎ বলেন, কর্মীরা চুপ থাকে ! এতোটুই পার্থক্য-
তবে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা নেতাদের ও চামচাদের এবং নেতাদের পরিবারের অতি দুরের সদস্যদের গাড়ী দেখলেই বুঝা যায়, গাড়ী গুলো ঝকঝকে তকতকে। তাদের রুচিও আছে আসলে !
এগিয়ে গেছে প্রিয় কুমিল্লা। রাস্তার পাশে বড় বড় ভবন গুলো নিয়েই সামান্য দুশ্চিন্তা, এগুলো বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় কিনা !