এমদাদুল হক সোহাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত ঐতিহাসিক কসবা রেলওয়ে স্টেশন নির্মানে ভারতের সাথে সীমানা নিয়ে সৃষ্টজটিলতা নিরসন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি।এতে করে দ্রুত নির্মান কাজ শেষ হবে এবং কসবাবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন ও অচিরেই স্টেশনের পূর্ণ সুফল ভোগ করতে পারবেন।
শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কসবা উপজেলা সমিতি ঢাকার অভিষেক, গুণীজন সম্মাননা ও কৃতিশিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের সাথে আলাপআলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়েছে। ভারতের আপত্তির কারনে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মানেকসবা রেলওয়ে স্টেশন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়িয়ে ছিল।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর কাছে উপস্থিত কসবার বিশিষ্টজন কসবা রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনের যাত্রা বিরতিরব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি কসবায় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার দাবি তুলেন। এসময়মন্ত্রী দুটি দাবির বিষয়ে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন, কসবায় গ্যাস ক্ষেত্র থাকলেও নিচে পর্যাপ্ত গ্যাস নেই। তাছাড়া আমি যেটাপারবনা সেটা কখনো আশ্বস্ত করিনা, করবেনা।
কসবা উপজেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলামসারওয়ার এর সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যানমতিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোঃ মোঃ নাজমুল হুদা খন্দকার, প্রকৌশলী কবীর আহমেদ ভূইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাসেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, আলহাজ্বমোহাম্মদ সেলিম মাস্টার, মোঃ আমিনুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত কসবাউপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত রেজা রতন ও এডভোকেট মোস্তাক আহাম্মদ সরকার।