এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিন বছর আগে দু’জনায় পরিচয়-সম্পর্ক। একে অন্যের ভালোলাগায় টানা তিন বছর ধরেই প্রেম করছিলেন চুটিয়ে। হঠাৎই প্রেমিক যুবক অনেকটা এড়িয়ে চলতে থাকায় প্রেমিকা গিয়ে অবস্থান নেন প্রেমিকের বাড়িতে। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও-ওসির মধ্যস্থতায় বিয়ের দিন ধার্য করেই নিজের বাড়িতে ফিরলেন অষ্টাদশী ওই প্রেমিকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসি’র মধ্যস্ততায় বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে। আগামী ২১ আগস্ট শুক্রবার উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খানের পুত্র মো. রতন মিয়ার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ওই প্রেমিকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের অষ্টাদশী এক যুবতীর সাথে গত তিন বছর আগে পরিচয়-সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের তফাজ্জল হোসেন’র পুত্র রতন মিয়ার। সেই থেকেই চুটিয়ে প্রেমে মত্ত ছিলেন ওই প্রেমিক যুগল। গত তিন-চার মাস যাবত নানারকম তালবাহানা দেখিয়ে প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন না রতন। সবরকম উপায় হারিয়ে শেষতক মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে খাড়েরা গ্রামে প্রেমিক রতনের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয় ওই প্রেমিকা। রতনকে বাড়িতে না পেয়ে স্থানীয় খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) মিজানুল হকের কাছে নালিশ দেন এবং ঘোষণা দেন তাকে রতন গ্রহণ না করলে সে আত্মহত্যা করবে। মিজান মেম্বার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলমকে অবহিত করলে তিনি ওই মেয়েসহ মেম্বারকে থানায় পাঠান। ইউএনও’র নির্দেশনা মোতাবেক থানার ওসি উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ২১ আগস্ট শুক্রবার ওই যুগলের বিবাহের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। অবশেষে প্রেমিকের সাথে বিয়ের তারিখ পাকা করেই ঘরে ফিরলেন অষ্টাদশী প্রেমিকা।
কসবা থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে-তাদের সম্মতি নিয়েই বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সে মোতাবেক ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবেই তাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে।