কাতিব হাসান মুরাদ, কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) চলমান বিভাগগুলোর মধ্যে বাংলা বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো বিভাগের বার্ষিক গবেষণা পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত পত্রিকাটির নাম ‘ভাষা সাহিত্য পত্রিকা।’ পত্রিকার সম্পাদক পর্ষদে সম্পাদক হিসেবে আছেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী ও সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা, অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান ও ড. তসলিমা খাতুন এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল ইসলাম।
‘ভাষা সাহিত্য পত্রিকা’-র প্রথম সংখ্যায় বাংলাদেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ভারতের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন শিক্ষক-গবেষকের লেখা ছাপানো হয়েছে। পত্রিকার গুনগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পিয়ার রিভিউ প্রক্রিয়ায় লেখাগুলো বাছাই করে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কোন বিভাগ থেকে বার্ষিক গবেষণা পত্রিকা বের করার অনুভূতি বলতে গিয়ে পত্রিকার সম্পাদক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং বিভাগের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভাগগুলোর মধ্যে আমরা সর্বপ্রথম এই উদ্যোগটি নিয়েছি। এ জন্য আমি একাডেমিক কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানাই এবং মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর নিকট আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
বাংলাদেশের বাইরে ভারত থেকে বেশ কয়েকজন প্রাবন্ধিক এই সংখ্যায় লিখেছেন। এই সম্পর্কে পত্রিকার সম্পাদক বলেন, এই পত্রিকাটিকে আন্তর্জাতিক মানেরও বলা যায়। প্রথম সংখ্যা থেকে আমরা আন্তর্জাতিক আইএসএসএন(ISSN) নম্বর দিয়ে প্রকাশ করেছি। আবার, বাইরের লেখকরাও লিখছেন এখানে সেক্ষেত্রে এটাকে আন্তর্জাতিক প্রকাশনাও বলা যাবে।’
ভাষা সাহিত্য পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী পত্রিকাটির গবেষণাধর্মী কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটা একটা বিভাগের গবেষণাকর্ম। গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে আমি বলে দিয়েছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত গবেষণামুখী কাজ হবে, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও কুবির প্রোডাক্ট (শিক্ষার্থী) সমাদৃত হতে থাকবে।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য সাহিত্য পত্রিকা বের করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান।