কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র
এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা
কমপ্লিট শাটডাউনের’ প্রথম দিন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দুপুর থেকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ গুলি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৮জন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫জন ভর্তি রয়েছে। কুমিল্লা শহরের আরো কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলছিল।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত শিক্ষার্থীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। তবে বেসরকারি সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে জড়োহতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তারা দেশীয় লাঠি-সোঠা, লোহার পাইপ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দুপুরের দিকে কোটবাড়ি বিশ্বরোডে জড়ো হন। তাঁরা বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেন, তাঁদের কর্মসূচিতে যেন কেউ বাঁধা না দেয়। কেউ শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি করে। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় মজুত করা গুলি আনতে হয়। বিক্ষুবদ্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি সাজোয়া গাড়ি সহ একটি ভ্যান পুড়িয়ে দেন।
অপরদিকে, কুমিল্লা দাউদকান্দি, চান্দিনাতে মাহসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দাউদকান্দি ও চান্দিনাতেও পুলিশের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ বিজিবি শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৫০ আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী ও একজন পুলিশ গুরতর আহত।