নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসহায় নারী রোগীর দশ হাজার টাকা চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপারেশনের মেসিডিন কেনার জন্য ও অন্যান্য খরচের জন্য দশ হাজার টাকা বহু কষ্টে সংগ্রহ করেছিলেন পরিবারটি। রোগীর নাম রোকেয়া বেগম, তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলার নিউরো মেডিসিন বিভাগের ১১নং ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছে। তিনি মেরুদন্ডে ব্যাথা জনিত রোগে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশী সময় ধরে অপারেশনের জন্য অপেক্ষমান আছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিলঘর গ্রামে।
রোগীর ছেলে অটোচালক রুহুল আমিন জানান, গত বুধবারে তার মায়ের অপারেশনের কথা ছিল। কিন্তু রোগীর হার্টে সমস্যা আছে জানিয়ে চিকিৎসকেরা অপারেশন করেননি। এদিকে অপারেশনের ওষুধ ও অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য বহু কষ্টে দশ হাজার টাকা সংগ্রহ করে তার বাবা গোলাম জিলানীর মাধ্যমে পাঠিয়েছিল। গত রাতে তাঁর বাবাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয় সিস্টারেরা। এসময় তিনি তাঁর কাছে থাকা দশ হাজার টাকা স্ত্রী রোকেয়ার কাছে দিয়ে বাহিরে চলে আসেন। রাতে সিস্টারেরা রোকেয়া বেগমকে ঘুমের ওষুধ দিলে রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ওঠে দেখেন তার টাকা চুরি হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফজলে রাব্বী দু:খ প্রকাশ করে বলেন, প্রায়ই এমন অভিযোগ আসে। রোগীদের সাথে থাকা স্বজনদের কারনে চোরদের সনাক্ত করা যায়না। অনেক সময় রোগীর সাথে থাকা স্বজনেরাও এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকেন। তিনি বলেন, মোবাইলও চুরি হয়। আমরা রোগীদের সচেতন থাকার জন্য বলি। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি। রোগীর আর্থিক অবস্থার কথা জেনে তিনি বলেন, আমাদের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে তাদের টাকাটা দেয়া যায় কিনা চেষ্টা করবো।