০৯ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার জেলাপ্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, কুমিল্লা কর্তৃক জেলাপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত পিইসি ও জেএসসি ক্যাটাগরীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ২৫ জন প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মধ্যে ৩,৫৬,৫০০/= টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করেন জেলাপ্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর। পিইসি ক্যাটাগরীতে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১৪,০০০/= টাকা এবং জেএসসি ক্যাটাগরীতে ২০,৫০০/= টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলাপ্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর কুমিল্লা জেলার অভিবাসী কর্মীদের জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স আহরণে কুমিল্লা জেলা দেশের শীর্ষে অবস্থান করে আসছে। তিনি দক্ষ হয়ে ভালভাবে জেনে বুঝে বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়ের সদ্ব্যবহার করে ভাল মানুষ হয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের বৃত্তি প্রাপ্তিতে মায়েদের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন বৃত্তির টাকা অপচয় না করে সন্তানের ভাল লেখাপড়ার কাজে ব্যবহার করেন।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, কুমিল্লার সহকারি পরিচালক দেবব্রত ঘোষ জানান, অস্বচ্ছল প্রবাসী কর্মীর সন্তানকে শিক্ষিত জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে তাদের মেধাবী সন্তানদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডর অর্থায়নে ২০১২ সাল থেকে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি অথবা সমমান ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। পিইসি বা সমমানের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ৩ বছর, জেএসসি বা সমমানের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে ২ বছর, এসএসসি বা সমমানের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে ২ বছর, এইচএসসি বা সমমানের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে ৪ বছর ধরে বৃত্তি পাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.wewb.gov.bd ভিজিট করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুবিধা রয়েছে। এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন জনশক্তি জরিপ অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম এবং মোঃ হারুন খান।