শরীফুল ইসলাম
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ পুরাবাজার হরিসভা এলাকায় ফের মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দিনগত রাতে ওই এলাকার ২০ মিটার ভাঙন ও ২৫ মিটির এলাকায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এতে সড়কের বেশ কিছু অংশ ও বৈদ্যুতিক খুটিসহ ভেঙেন নদী গর্ভে চলে যায়। ভাঙন আতংকে স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে হঠাৎ করে পুরানবাজারের হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ফাঁটল দেখা যায়। এ সময় শহর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু সিসি বøক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সর্বরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সকাল থেকে ওই এলাকায় গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বার বার ভাঙনের ফলে পুরানবাজার ব্যবসায়িক এলাকাটি ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক বিমল চৌধুরী বলেন, গত বছর থেকে ভাঙন এলাকাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওই সময় মন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছেন। ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাঁধ হবে বলে আশ্বাস দিলেও এখনও তা করা হচ্ছে না। যখন ভাঙন দেখা দেয় তখন কিছু বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়, ভাঙন কিছুটা কমলে আর কোন কাজ হয় না।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাত থেকেই শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেছেন। তবে এখানে পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। তারপরেও কাজ বন্ধ নেই।
পরিদর্শনে এসে কুমিল্লা পাউবো বিভাগের প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ পুরানবাজার হরিসভার ২৫ মিটার এলাকায় ফাঁটল এবং ২০ মিটার ভাঙন দেখা দেয়। এতে কিছুস্থানের ব্লাক নদীতে দেবে গেছে। ভাঙন স্থানে ৫ হাজার জিইও ব্যাগ ফেলা হবে। ৫টি বালুর বলগেটে প্রায় শতাধিক শ্রমিক ভাঙন স্থানে কাজ করছে। ভাঙন রোধে জরুরী বালুভর্তি বস্তা ফেলা অব্যাহত থাকবে।