নবীনগরে গ্রাম্য সর্দারকে চোখ উপড়ে-জিহ্বা কেটে হত্যা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গ্রাম্য সর্দার মিলন মিয়া (৮০)।গোষ্ঠিগত পূর্ব বিরোধের জেরে ওই সর্দারের চোখ উপড়ে ও জিহবা কেটে নিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষীয় লোকেরা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামে ঘটে বর্বরোচিত এ ঘটনা। নিহত মিলন সর্দার স্থানীয় কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত তালেব আলীর পুত্র। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০জন। এই ঘটনার পর দুই পক্ষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৌরনগর গ্রামে আজইরা গোষ্ঠী ও সরকার গোষ্ঠীর মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। তাদের বিরোধের জেরে দুই গোষ্ঠীর একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার রাতে গ্রামে একটি মাহফিল চলছিলো। সেই মাহফিল থেকে ফিরছিলেন সরকার গোষ্ঠীর মিলন সরদারসহ আরও কয়েকজন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পথিমধ্যে আজইরা গোষ্ঠীর লোকজন সরকার গোষ্ঠির লোকজনের উপর আচমকা হামলা চালিয়ে মিলন সরদারসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় হামলাকারীরা মিলন সরদারের চোখ উপড়ে, জিহ্বা কেটে নিয়ে যায়। এতে মিলন সরদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আহত অন্যদদেরকে উদ্ধার করে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজন অবস্থায় মাহমুদুল হাসান নামের একজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পর দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল-মামুন হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ‘আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’ নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘তুচ্ছ বিষয় ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মিলন সর্দার নিহত হয়েছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
Post Under