গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু
পারিবারিক কলহের জের ধরে বিক্ষুব্ধ ভাতিজার রামদায়ের কুপে হাতের কব্জি (পুরোপুরি) হারালেন রফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক চাচা। মুমূর্ষ অবস্থায় গুরুতর আহত চাচাকে কিছুক্ষণ আগে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
লোমহর্ষক এই বর্বোরচিত ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের চরিলাম গ্রামে।
এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার আতংকে হামলাকারী ভাতিজা ও তার গোটা পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম বিকেলে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরিলাম গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার আপন ভাই দুধ মিয়ার জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলেছিল।
এরই জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমির মাটি কাটার হিসেব নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দুধ মিয়ার ছেলে বিক্ষুব্ধ বাইজীদ মিয়া ঘর থেকে রামদা এনে চাচা রফিকুল ইসলামের বা হাতে কুপ বসিয়ে দেয়। এতে চাচা রফিকের বা হাতের কব্জি শরীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
এসময় তার আর্ত চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত রফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে আসেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে (সন্ধ্যায়) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম বলেন,’এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে লোকমুখে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। হামলাকারী বায়োজিদসহ তার পুরো পরিবার বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে গেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ বছর আগে একই উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তির পা কেটে নেয়া হয়। পরে সেই কাটা পা হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করতে দেখা যায়। যার সংবাদ সেসময় আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রচার হয়েছিল।