এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অটোরিকশার সাইড দেয়া-না দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহতের মামলার পলাতক আসামী জলদার মিয়ার (৬০) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল ইউনিয়নের সাহাব আলীর পুত্র। সংঘর্ষের ঘটনায় একলাস মিয়ার পক্ষের জলদার মিয়া আহত হয় বলে তার পরিবারের দাবী। মামলা হবার পর থেকেই পলাতক ছিলো। সোমবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে সতটায় নিজ বাড়িতে সে মারা যায়।
নাসিরনগর থানার পুলিশ জানায়, গত ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় উপজেলার ধরমণ্ডল বাজারে অটোরিকশার সাইড দেয়া-না দেয়াকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলাম ও একলাস মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে নজরুল ইসলামের পক্ষের মো. হাদিস মিয়া বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহত হাদিসকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরিয়ম চান বাদী হয়ে ২৯জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলায় বৃদ্ধ জলদার মিয়াকে করা হয় ১২নং আসামী।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) আরিসুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংঘর্ষে জলদার মিয়া আহত হয়েছিলো কি না সেটি আমার জানা নেই। তিনি কোথাও চিকিৎসা করিয়েছেন কি না সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে