এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে পুলিশের এত গাড়ি পুড়াচ্ছে, উনারা ঘুমাচ্ছেন মনে হয়। আজকে আমি শহরে ঢুকার আগেই পুলিশ আমার গাড়ি আটকিয়েছেন।তারা খোঁজ নিচ্ছেন আমি কোথায় যাব, না যাব। অতটা সচেতন আছে পুলিশ, সেই পুলিশ এতবড় একটা বিষয়ে জানলো না কীভাবে? ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনে
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিমকালে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব বলেছেন।
আরো পড়ুনঃ
শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ভাঙচুরের শিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শন, হামলায় আহত প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির খোঁজখবর নেয়াশেষে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, সাংবাদিকদের উপর হামলা এটা একটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এতে আমরা মর্মাহত হয়েছি। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে একদিকে পত্রিকায় বের হয়েছে রামদা নিয়ে, আবার আপনাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি প্যান্ট-শার্ট পড়া। এদিকে অন্যদের কাছে তথ্য পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্ধে এই ঘটনা ঘটেছে। এখনো আমরা কিছু বুঝতে পারছিনা। প্রেস ক্লাবকে আক্রান্ত করার কোন কারণ খুঁজে পাই না। এটা একটি অত্যন্ত অপরিপক্ক কাজ।
ডা. জাফরুল্লাহ্ আরো বলেন, এম.পি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী যা বলেছেন, তা সরাসরি পুলিশকে ক্লেইম করেছেন। এই মূহুর্তে আমরা কিছু মন্তব্য করতে চাই না। ঢাকায় ফিরে গিয়ে সব কিছুই জানাব। তবে দুঃখ করতে পারি, সাংবাদিকদের ও প্রেস ক্লাবকে আক্রমণ করার বিষয়ে। প্রেস ক্লাবকে আক্রমণ আর মসজিদকে আক্রমণ করা আমি একই মনে করি। এই মুহূর্তে আপনাদের কাজ হচ্ছে সত্য তুলে ধরা, আপনারা অনেক জায়গায় তা করে যাচ্ছেন।
পরিদর্শন ও মতবিনিমকালে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর সাথে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, রাষ্ট্র চিন্তা’র দিদারুল ভূঁইয়া,পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।