বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সময়ে দেশে সোনার দামে রেকর্ড গড়ল। সোনার দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ৭৩ হাজার টাকায় ঠেকেছে। দেশের ইতিহাসে এত দামে সোনা কখনোই কেনাবেচা হয়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় আন্তর্জাতিক বাজারে গোল্ডের এত বেশি দাম দেখিনি। গত দুই দিনেই প্রতি আউন্স গোল্ডের দাম ১০০ ডলার বেড়েছে। বাধ্য হয়েই আমাদের স্থানীয় বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে।
দাম সামনে আরও বাড়ার আভাস দিয়ে আগরওয়ালা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে ঠেকবে বুঝতে পারছি না। কোভিড-১৯ মহামারীতে সবাই এখন নিরাপদ বিনিয়োগ ভেবে সোনা কিনে মজুদ রাখছে।
এক মাসের ব্যবধানে ভরিতে বাড়ল দুই হাজার ৯১৬ টাকা। সোনার বর্তমান দাম বেড়ে ভরিতে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকায় উঠেছে।
এর আগে সর্বশেষ ২২ জুন সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনার দাম প্রতি ভরিতে ৫ হাজার ৭১৫ বাড়ানো হয়েছিল।
অতীতে দেখা গেছে, দেশের বাজারে সোনার দাম সাধারণত ভরিতে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়।
তবে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে এই দুই বার বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আগারওয়ালা।
আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) বৃহস্পতিবার প্রতি গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৮ দশমিক ১৯ ডলার। এ হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে) ৫৭ হাজার ৬৯১ টাকা। ফলে দাম কমার পরও দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ সোনার বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা। বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। এ হিসাবে ভরিতে দাম বেড়েছে ২ হাজার ৯১৬ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম বেড়েছে দুই হাজার ৯১৬ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ হাজার ৪৪৬ টাকায় বিক্রি হবে। ফলে ভরিতে দাম বেড়েছে দুই হাজার ৪৭৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৪৭ হাজার ৬৪৭ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম বাড়াল দুই হাজার ৯১৬ টাকা।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম, ভরি ৯৩৩ টাকা