বিএনপির কাজ কথায় কথায় মিথ্যা বলা আর মানুষ খুন করা-কসবায় আইনমন্ত্রী

কসবা (ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আওয়ামীলীগ উন্নয়ন করছে এটি বিএনপির চোখে পড়ে না, হিংসায় বিএনপি অন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপির কাজ কথায় কথায় মিথ্যা বলা, আর ষড়যন্ত্র করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা। শুক্রবার  (২৭ জানুয়ারি)  বিকালে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়াা কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ আয়োজনে মেহারী খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক এ কথাগুলি বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে নাকি রাজনীতির কারনে প্রাণ দিতে হয়েছে। কথাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বানানো মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকারের মামলায় তাঁর ছেলে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাস করতেন। সেখানে মাদকাসক্ত হয়ে মারা গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা বলেছেন, পুলিশ-প্রশাসন ছাড়া ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগকে আসতে। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, কসবা-আখাউড়া ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আসেন পুলিশ- প্রশাসন ছাড়াই আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি করবে। জনগন আওয়ামী লীগের সাথে আছে। জনগনই আওয়ামী লীগের শক্তি।  তিনি বলেন, ওরা এলাকায় না এসে ঢাকায় বসে বসে মিথ্যা কথা বলে ষড়যন্ত্র করে। তিনি বলেন, এ সকল ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামলে দিনে বিদ্যুৎ গেলে রাতে আসত। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ হয়েছে। লোডশেডিং কমে গেছে, নেই বললেই চলে। আগে ঢাকা থেকে কসবা আসতে চার থেকে পাচ ঘন্টা লাগত। রেলের ডাবল লাইন হওয়ায় এখন দুই ঘন্টায় কসবা আসা যায়।  এটি তাদের চোখে পড়ে না। বিএনপির নেতারা মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপির নেতারা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে খুন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলেছেন। আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলি ট্যানেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট করেছি। এই উন্নয়নের অংশিদ্বার বাংলাদেশের জনগন।
মন্ত্রী বলেন, যারা পাকিস্তান বাহিনীর দোসর তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের মধ্যে এখনো পাকিস্তান প্রেম রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ী চলাচল করত পারবে না, ভেঙে পড়বে। এখন পদ্মা সেতু হয়েছে, গাড়ী চলাচল করছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ফরিদপুরসহ অন্যান্য জায়গায় গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এখন তাদের লজ্জা হয় না যে তারা পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে।
মেহারী ইউনিয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. আবদুল আজিজ, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভুইয়া, কসবা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন।
বক্তব্য রাখেন, মেহারী ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া, সহিদ সামসুল হক, মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি জহিরুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এম. এ মনির প্রমুখ।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার দুপুরে কসবা পৌর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আবু ইউসুফ ভূইয়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরে তার কবর জিয়ারত করেন। নবনির্মিত কসবা মডেল মসজিদে মন্ত্রী জুমআর নামাজ আদায় করেন ও মুসল্লীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
পরে মন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় ঐতিহ্যবাহী কসবার আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল আবু আজগর আহমদ আল কাদেরী সাহেবের ৮৪তম ইছালে ছওয়াবের মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

Post Under