ফুটবলপ্রেমীদের প্রতীক্ষার শেষ হচ্ছে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। আজই পর্দা উঠছে কাতার বিশ্বকাপের।
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল। তারকায় ঠাসা দলটিকে ঘিরে ভক্তদের আশার পারদ আকাশচুম্বী।
দলের নিউক্লিয়াস নেইমার এবার পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার চ্যাম্পিয়ন হলে ব্রাজিলের হেক্সা মিশন পূর্ণ হবে। ছয়বারের মতো ট্রফি বগলদাবা করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ব্রাজিলের।
‘নেইমার পারেন চেষ্টা করলেই’— গেল দুই বিশ্বকাপ ধরে হৃদয়ভাঙার পর নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিলের সমর্থকদের মুখে এই একটি বাক্য অনেকবার শোনা গেছে।
কিন্তু নেইমার পারছেন না আসলে, ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর নেইমারকে ক্লাব ফুটবলেও সেরাদের কাতারে পারফর্ম করতে দেখা যায়নি তেমন।
তিনি ছিলেন ‘ব্যালন ডিঅর’প্রত্যাশীদের একজন। কিন্তু বারবারই হতাশ হয়েছেন।
ব্রাজিলের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের ১০ নম্বর জার্সি যার গায়ে থাকে, তার প্রতি প্রত্যাশার ভারটাও একটু বেশি থাকাটা অন্যায় নয়।
কিন্তু গত দুই বিশ্বকাপে নেইমার এ প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিলন ঘটাতে পারেননি।
দ্য ফেনোমেননকে ঘিরে এবার প্রত্যাশার চাপটা একটু বেশিই ভক্তদের। ব্রাজিলের সমর্থকদের আশা নেইমারই পারবেন ব্রাজিলের হেক্সা মিশন পূরণ করতে।
তবে নানা ধরনের বিতর্কে জড়ানো নেইমারের ক্যারিয়ারের নিয়মিত ঘটনা। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে মাঠে বড় মঞ্চে পারফর্ম না করতে পারা।
বাছাইপর্বে ১৬ গোল করেছেন বটে; কিন্তু দলটার নাম যখন ব্রাজিল, তখন বাছাই পর্বের পারফরম্যান্স খুব কম সমর্থকই মনে রাখবেন, যদি বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারেন।
মেসি-রোনালদোর সঙ্গে নেইমারের নাম উচ্চারিত হয়, কিন্তু প্রতিদান তিনি দিয়েছেন কমই।
ব্রাজিল দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স চোখ ধাধানো। কোচ তিতের অধীনে ব্রাজিল গত ২৯ ম্যাচে হারেনি, শেষ ১৭ ম্যাচের ১৩টিতে কোন গোলও হজম করেনি।
একই সঙ্গে এই ২৯ ম্যাচে ব্রাজিল গড়ে আড়াইটি করে গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে।
তবু বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে এবং যথাযথ পজিশনে যথাযথ ফুটবলার খেলানো নিয়ে কিছু দুশ্চিন্তার জায়গা আছে ব্রাজিলের।
তথ্যসূত্র বিবিসি।