কুমিল্লায় নিখোঁজের পর বাড়ির পাশের পুকুরে মিলছে শিশু সন্তানের মরদেহ। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বাবা মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল ওই শিশু, মাঝ রাতে শিশুকে না পেয়ে চিকিৎকার শুরু করেন মা। কোথাও আর খোজেঁ পাওয়া যায়নি শিশুটিকে। পরে ১৩ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের। জানা যায়, নিহত শিশু মেহরাব হোসেনের বয়স ১ বছর ৯ মাস। সে দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের (দক্ষিণ পাড়া) একতার বাড়ির রাজমিস্ত্রি মো. মুখলেছের পুত্র। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে শিশুটির মা’ সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন সন্তান নেই। সন্তান চুরির অভিযোগে ভিক্টিম শিশুর বাবা মো. মুখলেছ (৩৯) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরদের অভিযুক্ত করে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
ভিক্টিম শিশু মেহরাব হোসেনের বাবা মো. মুখলেছ জানান, আমি পেশায় রাজমিস্ত্রি, আমার ৩ পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গত রাতে খাবার খেয়ে আমরা খাটে ঘুমিয়ে পড়ি। মেহরাব হোসেন আমার ও আমার স্ত্রীর মাঝখানে ছিল। হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে আমার স্ত্রীর সূর চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে উঠি। বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে দেখি খাটে আমার সন্তান নেই। পেছনের দরজা খোলা। আমাদের সূর চিৎকারে বাড়ির এসে খোঁজাখুজি করে কোথাও পাইনি। পরে পুলিশ এসে পুকুর থেকে আমার সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতের মা মোসা. রুবী আক্তার জানান, আমি আমার ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে হঠাৎ জেগে দেখি আমার সন্তান বুকে নেই। কারা আমার সন্তানকে চুরি করে নিয়ে হত্যা করল তাদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, সন্তান চুরির অভিযোগে ভিক্টিমের বাবা মুখলেস থানায় অভিযোগ করলে এস,আই শুভর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পাঠাই। সে বিকেল ৩টায় বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।