এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা সহ ছয়টি জেলা নিয়ে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিধি। ছয়টি জেলা অফিস ও ৫৪টি উপজেলা নির্বাচন অফিস নিয়ন্ত্রণ করা হয় এ অফিস থেকে। কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটন নিয়েও প্রতিদিন প্রতিটি অফিসে প্রায় ৩০০জন সেবা প্রত্যাশী সেবা নিতে আসেন। নির্বাচন অফিসগুলো রাষ্ট্রের নির্দেশনা অনুযায়ি ও মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গড় হিসেব করলে প্রতি মাসে দেড় লাখ মানুষ এ অঞ্চল থেকে সেবা গ্রহণ করছে। কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: দুলাল তালুকদার বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর দপ্তরে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি অফিসে কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করেছি। মানুষ যাতে সেবা নিতে এসে বসতে পারে সেজন্য বসার চেয়ার ও ফ্যানের ব্যবস্থা করেছি। কোন অনৈতিক লেনদেন ছাড়া হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছি। সেবা প্রত্যাশীরা যাতে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য মন্তব্য বই সংরক্ষণের ব্যস্থা করেছি। সকলকে হয়তো সেবা দিয়ে খুশী করা যায়না। আইনের বাধ্যবাধকতার কারনে সকলকে তাদের চাহিদামত কাজ করে দেয়া সম্ভব হয়। যতটুকু যৌক্তিক ও বিধি সম্মত ততটুকি অবশ্যই করে দেয়া হয়। যদিও কুমিল্লা থেকে ছয় জেলার অফসিগুলো দেখা কষ্টকর তারপরেও নাগরিক সেবার বিষয়ে খুবই সতর্ক। কোন ধরনের অভিযোগ আসলে আমরা সেটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করি এবং গাফলতি থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরো বলেন, বেশিরভাগ সেবা প্রত্যাশী এনআইডি কারেকশানের জন্য আসেন। তাছাড়া নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্ত করার কাজেও আসেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনে কুমিল্লা নির্বাচন কর্মকর্তারা সরকারের বিশেষ সেবার অন্তর্ভূক্ত হিসেবে কাজ করেছেন। এসময় ৩৪ হাজার নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির কাজ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আগামি জানুয়ারিতে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চালু হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: দুলাল তালুকদারের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সিটিভি নিউজের সম্পাদক ওমর ফারুকী তাপস, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন জাকির সহ নেতৃবৃন্দরা।