কামরুল হক চৌধুরী
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের দাউদকান্দি গৌরীপুর বাজারের গোমতি সেতু উত্তরপাড় দীর্ঘ এক কিলোমিটার জুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ কয়েক হাজার নারী পুরুষ ঢাকা হোমনা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং বাহিরে থাকা আসামী ও যারা জামাল হত্যার মদদদাতা তাদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। কয়েক হাজার জনতা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি গৌরীপুর বাজারে এসে শেষ হয়।
এসময় নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী পপি আক্তার বক্তব্য দিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী জামাল নামাজ পড়তে মসজিদ যাওয়ার সময় যারা হত্যা করেছে কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আর যারা অর্থ দিয়ে ও পরিকল্পনা করে হত্যা করিয়েছে সেই ঘাতক পারুল, আলমগীর ও তার ভাই বাদলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাই।
এ সময় নিহতের ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন বলেন, আমরা এদেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় খুনীর ছেলে-মেয়েরা কিলার দিয়ে আমার ভাইকে নামাজ পড়ুয়া ভাইকে হত্যা করছে। খুনিরা বাহিরে থেকে এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন মুলহোতা পারুল আক্তার , আলমগীর মোল্লা ও বাদলকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, নুরুন নবী চেয়ারম্যান, শামছুল আলম চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ সভাপতি আজম সরকার, ওমর ফারুক, সহসভাপতি আমির হোসেন, মুকবুল হোসেন, কবির হোসেন ও নিপা মেম্বার সহ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল রাতে বোরখা পড়ে ফিল্মী স্টাইলে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে তিন ভাড়াটিয়া কিলার গুলি করে হত্যা করে।।