দেলোয়ার হোসেন জাকির
রাষ্টীয় পৃষ্টপোষকয়তায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী রীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা ২০০৪ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হমলা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
এমপি বাহার বলেন, যে সময় একুশে গ্রেনেড হামলা হয় তখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকীয়তায় সারা দেশে সন্ত্রাসী হামলা চলছিল। শুধু একুশে গ্রেনেড হামলা না আমরা সে সময় দেখেছি সিরিজ বোমা হামলা চলছে সারা দেশে। আমরা দেখেছি ঠিক সে সময় আদালতে বোমা মেরে বিচারক হত্যা করা হচ্ছে। ঠিক সে সময় আমাদের প্রিয় নেত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এটার প্রতিবাদ করতে যান।
এমপি বাহার বলেন সেদিন ২১ আগস্ট আমাদের প্রোগ্রামটাই ছিল সারা দেশে কুখ্যাত বাংলা ভাই থেকে আরম্ভ করে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালু করেছিল সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ সভা, সেই মিটিং এ যখন আমাদের নেত্রী যান তখন পরপর পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে হাজার হাজার লোক আহত হয়। এর মধ্যে আমাদের প্রায় ২৩ জন নেতা কর্মী মৃত্যুবরণ করেন। আল্লার অশেষ মেহেরবানীতে আমরা আমাদের দলীয় কর্মীদের সকলের প্রচেষ্টায় সেদিন আমাদের প্রিয় নেত্রীর জীবন রক্ষা হয়েছে।
মানবঢাল তৈরি করে সেদিন আমাদের নেত্রীকে রক্ষা করতে হয়েছে। শুধু গ্রেনেড হামলা নয় নেত্রীকে হত্যা করতে গুলিও ছোড়া হয়েছে। নেত্রীর বডিগার্ড মৃত্যু বরন করেছে এবং আমাদের অনেক নেতারা মানবঢাল তৈরী করে নেত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তারা নিজেরাও আহত হয়েছে।
এমপি বাহার বলেন, এটা পৃথিবীতে জঘন্যতম নেক্কার জনক ঘটনা, কারন এটার পৃষ্ঠপোষক ছিল তৎকালিন বিএনপি সরকার এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া এই গ্রেনেড গুলোর আলামতও নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
তারপরও বলব এই গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা আল্লার কাছে আমাদের নেত্রীর জন্য দোয়া করি। সেদিন যদি আল্লার মেহেরবানী নেত্রী বেঁচে না থাকত এবং বালাদেশের যে সার্বিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হতো না। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে সক্ষম হত না। আমরা আজকে অনেক চড়াই-ওত্রাই দেখেছি। আজকে আমাদের প্রিয় নেত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ, তিনি বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন করেছেন।
সাক্ষাৎকারে এমপি বাহার বলেন, এই করোনা কালীন অবস্থায়ও আমরা আজকে নেত্রীর সঠিক নেত্রীত্বের কারনে আমাদের জাতি সবল ভাবে বেচেঁ আছে। এমন কোন পেশার মানুষ নেই যে এই করোনা কালীন সময়ে তিনি সাহায্যে করেননি। আমাদেরকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমরা জনগনের পাশে থাকি। আমরা যেন সেই ভাবে আওয়ামীলীগ করি আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাজীবন গরীব ও অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হবে তখন এদেশের দরিদ্র অসহায় মানুষগুলো তারা তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সক্ষম হবেন।
বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেটা থমকে গিয়েছিল। আজকে আবার আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দায়িত্বটা নিয়েছেন আমরা জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে দেশকে আবারও পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া। আল্লার মেহেরবানী ২১শে গ্রেনেড হামলায় আমাদের নেত্রী বেঁচে গেছেন এবং আমাদের অনেক নেতা কর্মী জীবন দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই আমাদের আইভী রহমান অত্যন্ত ত্যাগী একজন নেত্রী ছিলেন। আমাদের প্রয়াত রাষ্টপ্রতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি আইভী রহমান সে সময় ২১শে গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু বরন করেন। এই পরিবারটি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরও আমাদের নেত্রী যখন দেশে ফিরেন তখন সবসময় পাশে ছিলেন। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা মারা গেছেন আমি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। এমপি বাহার বলেন, আর নেত্রীর জন্য আরও বেশী দোয়া করি আল্লাহ আমাদের নেত্রীকে যেন নেক হায়াত দান করেন এবং হায়াত যতই দান করুক তিনি যেন সুস্থ সবল ভাবে বেচেঁ থেকে দেশের মানুষের জন্য আরও বেশি কাজ করে।